মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা কি, কিভাবে

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো অনেকেই মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগোল এ সার্চ করেন। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম চা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কুমড়োর বীজে থাকা অ্যামিনো এসিড আপনার ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এই বিজে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট কে সুস্থ রাখে।

মিষ্টি-কুমড়ার-বীজের-উপকারিতা
 

মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা 

আমাদের দেশে সৃষ্টি সকল শাকসবজির মধ্যে অন্যতম এবং সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুনে ভরপুর মিষ্টি কুমড়া। আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো মিষ্টিক কুমড়া বীজের গুনাগুন সম্পর্কে জানিনা। আমরা অনেকেই অবহেলা করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ ফেলে দেই কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর এই মিষ্টি কুমড়ার বীজ হতে পারে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রধান উৎস। 

মিষ্টি বীজের উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার পরিমাণ এবং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রোটিনের ভালো উৎস। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিংক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস সহ ফাইবার উপাদান। তবে এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নাই বললেই চলে যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা

হার্ট সুস্থ রাখে: মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং এটা কোলেস্টরেলের পরিমাণ নেই বললেই চলে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়া হতে পারে অন্যতম সমাধান। কারণ মিষ্টি কুমড়ার ভিজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা এটি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

ভালো ঘুম: কুমড়োর বীজে রয়েছে অ্যামিনো নামক অ্যাসিড যেটি রাতে প্রশান্তিময় ঘুম হতে সাহায্য করে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ অধিক কার্যকরী। এতে থাকা ভিটামিন ই, জিংক, ফসফরাস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে যার ফলে শরীর যেকোনো রোগের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে। 

ওজন হ্রাস করে: শরীরের ওজন কমাতে চাইলে আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ রাখুন। কারণ এতে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন ক্ষুধা নিবারণ করে এবং খাওয়ার প্রবৃত্তি কমায়। যার ফলে আপনার শরীরের ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। 

হাড় মজবুত করে: কুমড়ার বেঁচে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস হারের ডেনসিটি বৃদ্ধি করে হারকে অধিক শক্তিশালী এবং মজবুত করতে সক্ষম। 

এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বীজ-

  • মানসিক দুশ্চিন্তা ও হতাশা হ্রাসে সহায়ক 
  • পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে 
  • চুলে পুষ্টি জোগিয়ে চুল পড়া রোধ করে
  • চর্মরোগ প্রতিরোধ করে ত্বককে ভালো রাখে 
  • শরীরে টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন বৃদ্ধি করে।

মিষ্টি কুমড়ার ক্ষতিকর দিক 

সবুজ সবজির মধ্যে অন্যতম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অন্যতম সবজি হল মিষ্টি কুমড়া। যদিও এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তবে অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি-

  • মিষ্টি কুমড়ার বীজ অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। 
  • যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চুলকানি সহ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হতে পারে। 
  • যাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অত্যাধিক কম তাদের মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে
    মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা
     

মিষ্টি কুমড়ার বীজ কতটুকু ও কিভাবে খাবেন 

মিষ্টি কুমড়ার ভিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং প্রোটিন। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণমতো খাওয়াই উত্তম। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টির মতো বিষ খেতে পারেন। তবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে সালাদ অথবা তরকারির সঙ্গে যোগ করলে এর পশ্চিমা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ড্রাই ফুড হিসেবে হালকা তেলে ভেজে খেতে পারেন। 

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর 

মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে কত ক্যালরি থাকে? 
প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার ভিজে রয়েছে ৫৬০ কিলো ক্যালরি। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং অত্যধিক পরিমাণে প্রোটিন। যার শরীরের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। 
কুমড়ার বীজ কাদের খাওয়া উচিত নয়? 
যাদের শরীরে এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে এবং যাদের শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক কম তাদের ক্ষেত্রে কুমড়োর বীজ বেশি খাওয়া উচিত নয়।
কুমড়ার  বীজের উপকারিতা কি কি?
কুমড়োর বীজ রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন ও আয়রন যা হারের ডেনসিটি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
প্রতিদিন কতটুকু মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাবেন? 
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন খাদ্য তালিকার একটি জরিপে দৈনিক ৩০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্বপ্নবোনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url