বরই পাতার উপকারিতা, যত গুনাগুন এবং সঠিক ব্যবহার।
বন্ধুরা আজকে বরই পাতার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশের শীতকালীন অতি পরিচিত একটি ফল হল বরই। তবে আজকের আলোচনার বিষয় বরই পাতার গুরুত্ব নিয়ে। আমরা অনেকেই বরই পাতার ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে জানিনা তাই আজকে আপনাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করব। মূলত প্রাচীনকাল থেকে ভেষজ গুণসম্পন্ন এই বরই পাতা স্বীকৃতি লাভ করে আসছে। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা শরীরকে জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য বেশ কার্যকর এবং মৃতদেহ দ্রুত পচন রোধ করতে সক্ষম।
বরই পাতার উপকারিতা
বহুকাল আগে থেকেই বই পাতার ব্যবহার চলে আসছে। সাধারণত ছোট্ট গোলকৃত এই পাতার ঔষধি
গুনাগুন সম্পর্কে জানলে আপনিও অবাক হবেন। বরই পাতার রস রোগ নিরাময়ের
ক্ষেত্রে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। পাতা হওয়ার শর্তেও বরই পাতার উপকারিতা
রয়েছে বহু তবে আজকে আপনাদের সাথে শারীরিকভাবে উপকৃত হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ
উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
আচ্ছা আমি যদি আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করি কোন খাদ্যগুলো খেলে আমাদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি
পাবে? বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয় যে ফ্যাট জাতীয় খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের
দেহের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
বরই ফল এবং বরই পাতা উভয়তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা আমাদের দেহের
শক্তির উৎস বলা হয়। এছাড়াও বরই পাতার ফ্যাট প্রায় শূন্য এজন্য বরই পাতা
আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
চর্মরোগ নিরাময় করে
আদিকাল থেকে বরই পাতার ভেষজ গুণ সম্পর্কে অনেকেই অবগত। চর্মরোগ থেকে মুক্তির
উপায় হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে আমাদের পূর্বপুরুষগণ বরই পাতার ব্যবহার করে
আসছেন। যা বাস্তব জীবনে খুবই কার্যকরী। সাধারণত আমাদের চামড়ার উপরে সৃষ্ট
এলার্জিজনিত সমস্যা যাকে আমরা চর্মরোগ বলে থাকি। আর এ সমস্যার একটি অন্যতম সমাধান
হলো বরই পাতার রসের ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি চর্মরোগ অথবা এলার্জি সমস্যা নিরাময় চান তাহলে প্রথমে আপনি কয়েকটি
বরই পাতা পরিষ্কারভাবে ধুয়ে নিন এবং সেই পাতা পেস্ট করুন। এরপর আধা কাপ
পরিমাণ রসের সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরা গুড়ো যোগ করুন এবং নিয়মিত রাতের বেলা এই
রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার চামড়ার ওপরে থাকা এলার্জি জনিত সমস্যা
সহজেই নিরাময় করা সম্ভব।
আলসার প্রতিরোধ করে
অনেকেরই গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার তৈরি হয়ে থাকে। এ সময় আপনি এই রোগ থেকে
অব্যাহতি পেতে চাইলে বরই পাতা সেবন করতে পারেন। বরই পাতাতে বিদ্যমান এন টি
উপাদান হিসেবে সোডিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা ঔষধি
গুনসম্পন্ন। আপনি যদি নিয়মিত কয়েকটি পরিষ্কার বরই পাতা চিবিয়ে খান তাহলে
আলসার দূর হয়ে যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
সাধারণত বরই পাতাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের শরীরের ফ্রী রেডিকেল
গুলোকে নষ্ট করে দেয়। এছাড়াও বরই পাতায় বিদ্যমান ভিটামিন সি ভিটামিন এ সহ
বিভিন্ন ভিটামিন পাওয়া যায় যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
ব্যাপক সহায়তা করে।
চুল পড়া বন্ধ করে
বর্তমানে চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুল পড়া সমস্যার সমাধান
পেতে আমরা অনেকেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকি কিন্তু আপনি চাইলেই প্রাকৃতিকভাবে
বরই পাতার দ্বারা এই সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন। যাইহোক কিভাবে এর
ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে বলি। প্রথমে আপনি কয়েকটি পরিষ্কার বরই পাতার সঙ্গে
তুলসী এবং আমলা মিশিয়ে নিন। এরপর এই তিনটি উপাদান একত্রে পেস্ট করুন। এরপর ১০
থেকে ১৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন তারপরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার
করার ফলে কেশ পড়া অতি সহজেই বন্ধ করতে পারেন।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
আচ্ছা আপনি কি জানেন আমাদের ত্বক খসখসে অথবা ম্লান হয় কেন? মূলত ত্বক
পুষ্টিহীনতাই ভোগে যার ফলে ত্বক খসখসে এবং অমসৃণ হয়ে পড়ে। তবে এই সমস্যা থেকে
মুক্তির একটি মাধ্যম হলো বরই পাতার ব্যবহার। বরই পাতার উপকারিতা হল এতে
রয়েছে অ্যামাইনো এসিড বিটা ক্যারোটিন সহ স্কোয়াড এসিড। যেগুলো আমাদের ত্বকের সব
ধরনের পোস্টটি ঘাটতি পূরণ করে এবং আমাদের ত্বকের স্পষ্ট বলিরেখা চমৎকারভাবে দূর
করে।
বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম
আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দূর করতে আমরা ফলমূল খেয়ে পুষ্টি সঞ্চয়
করি তবে শুধু যে ফল মূল্যই দেহের পুষ্টি পূরণ করে তা নয় অনেক ফলের পাতাও শরীরের
রোগ বালাই দূর করতে বিশেষভাবে কাজ করে। তেমনই হল বড়ই পাতা।
বরই পাতার উপকারিতা এবং এর গুণাবলী অপরিসীম। তবে আপনি যদি সঠিক নিয়মে এর সেবন না
করে থাকেন সেক্ষেত্রে ভালো ফল কখনোই পাবেন না। এর জন্য আমরা বরই পাতার
উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছে এবং কিভাবে খাবেন সে বিষয়ে জেনে
নি।
প্রতিদিন আপনার দেহকে সুস্থ রাখতে চাইলে দুই থেকে তিনটি বরই পাতা পরিষ্কারভাবে
ধুয়ে যে কোন সময় সেবন করতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি সহ শরীরকে পূর্বের তুলনায় সুস্থ মনে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন বড়ই পাতার
উপকারিতা কতটা বেশি।
বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি
আদিম কাল থেকেই আমাদের পূর্বপুরুষেরা বরই পাতাকে এলার্জি সমস্যার
সমাধান হিসেবে মেনে আসছে। আমরা পূর্বে বরই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে
জেনেছি। তবে এলার্জির সমস্যার ক্ষেত্রে বরই পাতা সবথেকে বেশি কার্যকরী।
কারণ বরই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা শরীরের জীবাণু মুক্ত রাখতে
সহায়তা করে। আপনি যখন কয়েকটি বরই পাতা গরম পানিতে মেশাবেন তখন এর থেকে আঠালো
একটি নির্যাস বের হয় যা আমাদের শরীরকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
বরই পাতার ব্যবহারের ফলে ৫০ বছরের পুরনো এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করা সম্ভব। যাদের
চুলকানিজনিত সমস্যা রয়েছে একমাত্র তারাই বোঝে এই যন্ত্রণার সহ্য করা কতটা
কষ্টকর। তাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তির সবথেকে বড় ঔষধ হলো বরই পাতার রসের
নির্যাসের ব্যবহার। আপনি নিয়মিত কয়েকদিন গরম পানির সঙ্গে কয়েকটি পাতার রস
মিশিয়ে গোসল করুন তাহলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
বরই পাতার অপকারিতা
যদিও বরই পাতার অপকারিতা নাই বললেই চলে। তবুও ক্ষেত্রবিশেষে বরই পাতার
উপকারিতার পাশাপাশি সামান্য কিছু অপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে যাদের
শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে তারা বড়ই পাতা বা বড়ই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কারণ বড়ই একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল যার ফলে আপনার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বৃদ্ধি
পেতে পারে।
এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা বড়ই খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। কারণ বড় এর
মধ্যে রয়েছে চিনির উপাদান আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বড় খেয়ে ফেলেন তাহলে
আপনার ডায়াবেটিস পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বেড়ে যাবে যার ফলে শারীরিক
অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে। তাই যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা অল্প পরিমাণে
বড়ই খাবেন এবং সতর্কতার সঙ্গে।
বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
বরই পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। বড়ই পাতায় বিদ্যমান
এন্টিসেপটিক উপাদান শরীরকে জীবাণুমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিন্তু কিভাবে বড়ই পাতার ব্যবহার করব? বড়ই পাতার সঠিক ব্যবহার না করলে এর
সম্পূর্ণ গুনাগুন আমরা সঠিকভাবে পাবোনা।
বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করার মাধ্যমে আমরা এর ফলাফল সব থেকে বেশি পাব। যখন
বড়ই পাতার সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে নেওয়া হয় তখন আঠালো নির্যাস
বের হয়। যেগুলো হল বড়ই পাতার অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করার
উপকারিতা হল ওই অ্যান্টিসেপটিক উপাদান গুলো আমাদের ত্বকের সঙ্গে মিশে যাই
যার ফলে ত্বক জীবাণুমুক্ত হয় এবং এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মেলে।
বরই পাতার উপকারিতা চুলের জন্য
চুল পড়া বর্তমানে সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে পড়েছে। আমাদের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
অথবা শারীরিক অসুস্থতার কারণে চুল ঝরে পড়তে পারে। আর এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য
আমরা ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকি। কিন্তু আপনি চাইলে ঘরে বসেই এর সমস্যা থেকে
চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু সেটা কিভাবে?
বড়ই পাতার উপকারিতা চুলের জন্য এর ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম হলো
কয়েকটি পরিষ্কার বরই পাতার সঙ্গে আমলা ও তুলসী একত্রে
মিশিয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এরপরে সেই পেস্ট মাথার চুলে ১০
থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে বড়ই পাতার পেস্ট
ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল পড়া পড়বে তুলনায় অনেক কমে যাবে।
বরই পাতার রস খেলে কি হয়
বড়ই পাতার রসে রয়েছে এন্টিহিস্টামিন নামক উপাদান যা শ্বাসতন্ত্রের
এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করতে সক্ষম। এছাড়াও বড়ই পাতার রসে থাকা এনটিসেপটিক
উপাদান আমাদের শরীরের এলার্জিজনিত সমস্যায় এবং চর্মরোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। আর এ কারণেই বরই পাতার উপকারিতা আদিমকাল থেকে আমাদের
পূর্বপুরুষেরা গ্রহণ করে আসছে।
বরই পাতার গরম পানি
বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই আমরা জেনেছি কিন্তু আমরা কি
জানি বড়ই পাতার গরম পানি দ্বারা কি করা হয়। আমাদের ইসলাম ধর্মের মানুষেরা
কোন মৃত ব্যক্তির দাফনের পূর্বে তাকে বরই পাতার গরম পানি দ্বারা গোসল
করায়, কিন্তু কেন? কারণ হলো বড় এর পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা
গরম পানির মিশ্রণের ফলে আঠালো নির্যাসের মাধ্যমে বের হয়ে আসে।
এমন একটি উপাদান যার শরীরের জীবাণুকে নষ্ট করে দেয় এবং শরীরকে জীবাণু মুক্ত
রাখে। এছাড়াও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মৃত ব্যক্তির লাশ সহজে পচে
যেতে দেয় না। আর এ কারণেই বড়ই পাতার গরম পানি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার
বরই পাতার উপকারিতা প্রকাশ পায় তার অ্যান্টিসেপটিক উপাদানের
মাধ্যমে। বড়ই পাতায় বিদ্যমান এই অ্যান্টিসেপটিক উপাদান এলার্জি ও চর্মরোগ
নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী। বরই পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে নিলে এর
থেকে নির্যাস জাতীয় পদার্থ বের হয় এবং এটি ত্বকে ব্যবহার করার ফলে
দীর্ঘদিনের চর্ম ও এলার্জি জনিত সমস্যা নিরাময় করা সম্ভব।
মৃত ব্যক্তির গোসলে বড়ই পাতার ব্যবহার
মৃত ব্যক্তির গোসলে বড়ই পাতার ব্যবহার করা হয় কারণ বড়ই পাতায় রয়েছে
অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বরই পাতার উপকারিতা মৃত ব্যক্তির গোসলের ক্ষেত্রে
প্রকাশ পেয়েছে। বড়ই পাতায় বিদ্যমান অ্যান্টি সেপটিক উপাদান শরীরকে জীবাণুমুক্ত
রাখে এবং মৃত ব্যক্তির লাশ সহজে পচে যেতে দেয় না। এ কারণেই মৃত ব্যক্তির গোসলে
বড়ই পাতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বড়ই পাতা যখন গরম পানিতে ফুটানো হয় সে
সময় আঠালো নির্যাস পদার্থ বের হয় আর এই উপাদানই জীবাণুমুক্ত রাখতে এবং লাশ
সহজে পচে যেতে দেয় না।
উপসংহার
বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা অনেক
কিছু জানতে পেরেছি। তবে মানুষের শরীরের পিএইচ মান সকলের আলাদা হয়ে থাকে তবে
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়
না। তবুও ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে এজন্য আপনি চাইলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
তারপরে বড় পাতার ব্যবহার করতে পারেন।
স্বপ্নবোনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url