রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫- ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশ।

রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ থেকে শুরু সেটি যদি আপনি জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন এবং রমজান মাসের সকল নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে থাকা প্রয়োজন।
কারণ রমজান মাস হল মুসলিম পরিবারদের জন্য রহমতের মাস। এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত করলে আল্লাহ অনেক খুশি হয়ে থাকেন। তাই রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ সালের কোন দিন কোন এবাদত করা উত্তম সে বিষয়ে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

যে অংশ থেকে পড়তে চান সেখানে চাপ দিনঃ

রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫

রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ এর সম্পূর্ণ ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হলো।

SUNDAY MONDAY TUESDAY WEDNESDAY THURSDAY FRIDAY SATURDAY
1 Ramadan
27 February
1 st Ramadan
2 Ramadan
28 february
3 Ramadan
01 March
4 Ramadan
02 March
5 Ramadan
03 March
6 Ramadan
04 March
7 Ramadan
05 March
8 Ramadan
06 March
9 Ramadan
07 March
10 Ramadan
08 March
11 Ramadan
09 March
12 Ramadan
10 March
13 Ramadan
11 March
14 Ramadan
12 March
15 Ramadan
13 March
16 Ramadan
14 March
17 Ramadan
15 March
18 Ramadan
16 March
19 Ramadan
17 March
20 Ramadan
18 March
21 Ramadan
19 March
Lailat-ul-Qadr
22 Ramadan
20 March
23 Ramadan
21 March
Lailat-ul-Qadr
24 Ramadan
22 March
25 Ramadan
23 March
Lailat-ul-Qadr
26 Ramadan
24 March
27 Ramadan
25 March
Lailat-ul-Qadr
28 Ramadan
26 March
29 Ramadan
27 March
Lailat-ul-Qadr
30 Ramadan
28 March

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখ সে বিষয়ে আমরা রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ এ দেখতে পেয়েছি। মূলত আল্লাহ তা'আলা চাঁদকে সময় নির্ধারক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাই রমজান মাস নির্ধারিত হয় চাঁদ ওঠার উপর ভিত্তি করে। রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় ২০২৫ সালের রমজান মূলত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।

যদিও রমজান মাসের শুরু এবং শেষ সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাঁদ ওঠা এবং বিলীন হওয়ার উপর ভিত্তি করে। একদম সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয় যে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকেই রমজান শুরু তবে একদিন আগে অথবা একদিন পরে থেকেই রমজান মাসের শুরু হতে পারে।

রমজানের সময় সূচি 2025

রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ এ আমরা সম্পূর্ণ রমজানের সময় সূচি 2025 নিয়ে আলোচনা করেছি। রমজানের সময়সূচি সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাঁদ ওঠার উপর ভিত্তি করে তবুও প্রাথমিকভাবে ক্যালেন্ডার অনুসারে ধারণা করা যাচ্ছে যে 2025 সালের রমজান শুরু 27 ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে এবং শেষ হচ্ছে ২৮ মার্চ শুক্রবার।

আপনি যদি রমজানের সময়সূচি ২০২৫ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে ওপরে রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ ভালো করে লক্ষ্য করুন।

2025 সালের রোজার ঈদ কবে

2025 সালের রোজার ঈদ কবে হচ্ছে 29 মার্চ শনিবার। 2025 সালের রমজান মাসের পঞ্জিকা অনুসারে রমজানের শুরু হওয়ার কথা 27 ফেব্রুয়ারি এবং যদি ৩০ টি রোজার সম্পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে রোজার শেষ হবে ২৮ মার্চ শুক্রবার হঠাৎ ২০২৫ সালের রোজার ঈদ হবে ২৯ মার্চ শনিবার। কিন্তু যদি ২৭ ফেব্রুয়ারি রমজান শুরু হয় এবং 29 টি রোজা সম্পন্ন হয় তাহলে ঈদ হবে হচ্ছে ২০২৫ সালের ২৮ মার্চ শুক্রবার।
এর সব কিছুই নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে। মূলত ইসলামিক শরিয়া কোন নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার অনুসারে চলে না। তাই সঠিকভাবে এবং নির্দিষ্টভাবে কেউ কখনোই রোজার ঈদ সম্পর্কে পূর্বেই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনা। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে ২০২৫ সালের রোজার ঈদ ২৯ মার্চ শনিবারে হবে।

রোজা রাখার নিয়ম

বর্তমানে প্রত্যেকটি মুসলিম উম্মার মধ্যে রোজা রাখার নিয়ম নিয়ে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। আমরা রোজা রাখার সঠিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে চাই কিন্তু অনেক ভুলভাল তথ্যের কারণে বিভ্রান্তর সৃষ্টি হয়। চলুন আজকে কয়েকটি রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

  • সেহেরীঃ মূলত রাতের তৃতীয় অংশে সেহরির সময় শুরু হয় এবং ফজরের আজানের কিছু মুহূর্ত পূর্বে সেহরির সময় শেষ হয়। এই সময়টুকুতে আমরা মূলত রোজা রাখার নিয়ত করে খাবার খায় এবং দিনের শেষ ভাগ অর্থাৎ মাগরিবের আজান পর্যন্ত পানাহার বন্ধ রাখার নিয়ত করি।
  • ইফতারঃ সেহরি খাওয়ার পরে থেকে সকল ধরনের নিষিদ্ধ কাজকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রেখে এবং সারাদিন পানাহার বন্ধ রাখার পরে যখন মাগরিবের আজান হয় মসজিদে সেই সময় আমরা আবার পানি পান করতে পারি অথবা খাবার গ্রহণ করতে পারি এর মাধ্যমে আমাদের একটি রোজা সম্পন্ন হয়।
  • ইফতার পরবর্তী সময়ঃ মাগরিবের সালাতের শেষে এবং সেহেরী খাবার পূর্বে আমরা আমাদের ইচ্ছা মতো যেকোনো সময় খাবার খেতে পারি। এবং এই সময়টুকুতে অর্থাৎ রাতের এই অংশে রমজান মাসে আল্লাহ কে খুশি করার জন্য বেশি বেশি ইবাদত করা উত্তম।
প্রত্যেকটি মুসলিম পরিবারের কাছে রমজান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। তাই আমরা রমজান মাসের সূচনার পূর্বেই প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে এবং রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ এর সকল তথ্য সম্পর্কে অবগত করেছি।

তবে রমজান মাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এটি হল ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। প্রতিবছর এর এই একমাস রোজা রাখার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ধৈর্যশালীনতা সহ অনেক নিয়ম কানুন মানার ক্ষমতার সৃষ্টি হয়।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ

শুধু সেহরির সময় খাবার খেয়ে সারাদিন পানাহার বন্ধ রাখলেই রোজা সম্পন্ন হয়ে যায় না। পানাহার বন্ধের সঙ্গে ইসলামের আরো কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে মানতে হয় এছাড়া আল্লাহর কাছে রোজা কবুল হয় না। তাই রোজা রাখার পূর্বে আমাদের রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। চলুন তাহলে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ সম্পর্কে জানি।

  •  রোজা অবস্থায় বমি করলে রোজা ভঙ্গ হয়।
  • নাকের সাহায্যে সর্দি টেনে নিলে রোজা ভঙ্গ হয়।
  • থুতুর সঙ্গে রক্ত গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে ওষুধ সেবন করলে রোজা ভঙ্গ হয়।\
  • কুলি করার সময় যদি ভুলক্রমে পানি পান করে ফেলেন রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • ভুলবশত পানাহার করে ফেলার পরে যদি আপনার মনে পড়ে আপনি রোজা রেখেছেন তারপরে যদি খাবার গ্রহণ করেন তাহলে রোজা ভেঙে যায়।

যেসব কারণে রোজা ভাঙ্গে না

রোজা ভঙ্গের অনেকগুলো কারণ রয়েছে কিন্তু বর্তমানে মুসলিম উম্মাদের মধ্যে আরও বেশ কিছু কারণ মানে তারা যেগুলো আসলে রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। যে সকল কারণে রোজা ভাঙ্গে না সে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

  • সুগন্ধি অথবা আতর ব্যবহার করলে রোজা ভাঙ্গে না।
  • মুখের থুতু গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হয় না।
  • দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভঙ্গ হয় না তবে খেয়াল রাখতে হবে মুখের ভিতরে যেন পানি না যায়।
  • নাকে কিংবা কানে পানি গেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
  • চোখে সুরমা ব্যবহার করলে রোজা ভঙ্গ হয় না।

রমজান মাসের ফজিলত

রমজান মাসের তাৎপর্য ও ফজিলত বর্ণনা করা এই কয়েক লাইনের মধ্যে সম্ভব নয়। রমজান হচ্ছে সকল মাসের সেরা মাস আল্লাহ তা'আলা কোরআন শরীফে বলেছেন রমজান এক মহিয়া মই ও গৌরব মন্ডিত মাস। এই মাসে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব আল কোরআন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে নাযিল করা হয়েছে।

প্রত্যেকটি মাসের তুলনায় এই মাসের ইবাদতে আল্লাহ তায়ালা 70 গুণ পরিমাণ সওয়াব বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবং রমজান মাসের একটি রাতকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম রাত হিসেবে আমাদের মাঝে দিয়েছেন। ২৭শে রমজান লাওহে মাহফুজ থেকে আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে কোরআন নাজিল করেছেন যার জন্য এই রাতকে সর্বশ্রেষ্ঠ রাত হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। আমাদের জীবনের ১০০০ বছর আমল করে যে নেকি অর্জন করতে পারব লাইলাতুল কদরের রাতে আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রেখে তাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে যদি আমরা সারারাত ইবাদত পালন করি তাহলে 1000 বছর আমল করার সমান নেকি এক রাতে অর্জন করতে পারব। এছাড়াও রমজান মাসে এক টাকা দান করলে 70 টাকা দান করার সমান নীতি অর্জন করা যায়। এর জন্যই বলা হয়ে থাকে মুসলিমদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে রমজান মাস।

আমাদের শেষ কথা

রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ এ আমরা রমজানের সকল সময়সূচী সম্পর্কে অবগত হয়েছি। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের পাওয়া শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে রমজান মাস।id="" আর এই মাসের ফজিলত অপরিসীম। তাই আমার মুসলিম হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত আল্লাহর দেয়া এই বিধানকে সম্পূর্ণ নিয়ম নীতি মেনে পালন করা। আল্লাহ আমাদের ভালো উদ্দেশ্যে আমাদের আখেরাত পরকাল যেন উত্তম হয় এর জন্যই মূলত রমজান মাসকে আমাদের মাঝে প্রেরণ করেছেন।

আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য সবথেকে বড় সুযোগ হচ্ছে এই রমজান মাস। এই মাসে আমরা নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নিজের জীবনের পিছনের সকল গুনা খাতা মাফ করে নিতে পারি আল্লাহ তায়ালার কাছে থেকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্বপ্নবোনা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url